যশোর জেনারেল হাসপাতালের ডাক্তাররা কর্মবিরতি পালন করছেন। প্যারামেডিকেল চিকিৎসকদের নামের আগে ‘ডাক্তার’ শব্দ ব্যবহারের প্রতিবাদসহ ৫ দফা দাবিতে তারা এ কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ করেন। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে সাধারণ রোগীদের। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে যশোর মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরাও এ কর্মসূচী পালন করে।
মেডিকেল কলেজ সূত্র জানায়, যশোর মেডিকেল কলেজের ইন্টার্ন ডাক্তার এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা: আজম ও সাধারণ সম্পাদক ডা: নাঈমের নেতৃত্বে বুধবার (১২ মার্চ) সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত বহির্বিভাগের কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। এছাড়া সকালে তারা হাসপাতাল চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশ করে। সমাবেশে শিক্ষক সমিতির ডাক্তার নাজমুল হোসেন, ডাক্তার ওবাইদুল কাদের উজ্জলসহ নেতৃবৃন্দ অংশ নেন।
সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এই ইস্যুতে উচ্চ আদালতের রায় ঘোষণা হওয়ার কথা রয়েছে। যদি আদালতের রায় আন্দোলনকারীদের বিপক্ষে যায়, তবে তারা আগামীকাল থেকে পূর্ণাঙ্গ শাটডাউনের পরিকল্পনা করছেন।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার হুসাইন শাফায়াত জানান, এটি শিক্ষার্থীদের কেন্দ্রীয় কর্মসূচি, তবুও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগী সেবা স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করেছে।
হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড পরিদর্শন করে দেখা যায়, জরুরি ওয়ার্ড, পুরুষ সার্জারি ওয়ার্ড, মহিলা সার্জারি ওয়ার্ড, আইসিইউ, সিসিইউ, ও গাইনি ওয়ার্ড ব্যতীত অন্যান্য ওয়ার্ডের চিকিৎসা সেবা সীমিত আকারে চালু রয়েছে। এছাড়া বহি:বিভাগ বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে করে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ রোগীরা। তারা বলেছেন, অসুস্থ গরীব রোগীদের জিম্মি করে ডাক্তারদের এ আন্দোলন হতে পারে না। এটা তাদের শপথের বিরুদ্ধাচরণ ও মানবতাবিরোধী।
খুলনা গেজেট/এএজে